পার্থিব
কী হবে নক্ষত্রকেশব আকাশে, যদি না থাকে প্রাণ?
যতদূর চোখ যায় ততদূর মত্যুর মতো ছড়িয়ে থাকে আঁধারের খোলামকুচি। মাটি নেই, বায়ু নেই, জল নেই; আছে শুধু শুকনো মহাশূন্য। এ নৃশংস তমিস্রার চাপে খরমুজার মতো হাড়ের খাঁচা ফেটে গুঁড়িয়ে যায় । এ অনন্তে তাকাতে ভয় করে। এ দুর্ভেদ্য অন্ধকার চোখ মটকে উল্টে তাকায় আয়ুমাংসের ভেতরে । জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটে।
এ তমসায় কোথায় ঈশ্বরের চোখ? কোথায় সেই বিখ্যাত আনন্দময়লোক?
শূন্যযানে বসে মহাকাশচারী বিজ্ঞানী তাকায় কমলালেবুর মতো নরম পৃথিবীর দিকে। অন্তরীক্ষের নিরীশ্বর উগ্ৰ শূন্যতা থেকে সে নিঃসঙ্গ পক্ষিণীর মতো আগলে রেখেছে মানুষকে। অনন্তপ্রসারিত মৃত্যুর চোয়াল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে সে একাকী বাঘিনীর মতো পাহারা দিয়েছে সভ্যতা। লালন করেছে অন্নে, স্নেহে, বাঁশিতে।
যে মানুষ মহাশূন্য দেখেনি, সে কী করে বুঝবে পৃথিবী কাকে বলে?
একবার ঐ ভয়াল অন্ধকারের মাঝে গিয়ে দাঁড়ালে অতি ধুরন্ধর রাষ্ট্রনায়কেরও পাজামা হলুদ হয়ে যাবে।
কী ক্ষুদ্রের জন্য কী বৃহৎ অপচয়! তৃণখণ্ড দখলের হীন দুরাশায় সোনার শস্যভূমি ধ্বংস হয়ে যায়। এত সব ক্ষয়ক্ষতি কেউ কি ফিরিয়ে দিতে পারে?
মহাকাশ বিজ্ঞানী মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর দিকে তাকায়। তার দুইচোখ ভরে আসে জলে . . .
সে জেনেছে, শুধু সেই জেনেছে . . . মা কাকে বলে!
অসামান্য
ReplyDelete