মিছিলের বাইরে
-
তুমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছো তোমার ছায়া রূপান্তরিত হয়ে যাচ্ছে খাদ্যে
তোমার পায়ের ছাপ রূপান্তরিত হয়ে যাচ্ছে রক্তে
তোমার ভরা পেটের ভিতর একটা ঠান্ডা শাদা হাত খাবার খুঁজে যাচ্ছে
তোমার গভীর ঘুমের ভিতর নড়াচড়া করছে এক ক্ষুধার্তের প্রসববেদনা
তুমি মিছিলে নেই, তোমার পা নাচছে লঘু সঙ্গীতে
তোমার ভুল শীততাপনিয়ন্ত্রিত হিসেবের মধ্যে শুকিয়ে যাচ্ছে কারো রুটি ও খাদ্যনালী
আমি তোমার সাথে আপোষ করেছি
তোমার ভেতরের ওসব অস্বাভাবিক আলো-ছায়া আমি থামিয়ে দেব
চিৎকার সরিয়ে নেব, রক্তের দাগ মুছে নেব
আরো অন্যান্য যা কিছু তোমায় বিব্রত করে, সব সরিয়ে নেব
পরে, রক্ত ও শূন্য থালার ছবি আমি নিপুণভাবে ফোটোশপে জুড়ে দেব তোমার সেলফিতে
তুমি আমার সাথে আপোষ করেছো
অথচ অভিনয়ের সংলাপ ভুলে যাচ্ছো কেবল
আমাকে সরিয়ে মৃত্যুর সাথে দাবা খেলছো
মৃত্যুকে সরিয়ে এক অন্ধ শিশুর তৃষ্ণার সাথে
দাবার বোর্ড থেকে একমুখ রক্ত নিয়ে ছুটছে অশ্বমেধের ঘোড়া
আমি বা তুমি কেউ এই যুদ্ধ জিততে পারব না
অচেনা রক্তাক্ত সন্তান তীব্র শ্বাসকষ্টে বলবে ‘মা, বাবা, ওরা ভিক্ষে চাইতে
আসে নি’
মুমুর্ষু সাপের চোখ থেকে নীল একটা রঙ গড়িয়ে পড়বে আমাদের জিভে
যার কয়েক মাইক্রোইঞ্চি দূর থেকে স্পর্শবর্ণ শুরু হয়
শীতনিয়ন্ত্রিত হাওয়া চমকে উঠবে আট-কুঠুরির ভিতরে
বাইরে তখন ফেনাভাত আর শাকের আড়াল থেকে উঠে আসছে অমরত্ব
আমাদের মরণ-কামড় থেকে ছিটকে উঠছে রূপকথার হরিণ, ডলফিন, পাখিদের পুনর্জন্ম
ওষুধ পালটাতে পালটাতে আমরা খেয়াল করি,
আমাদের পায়ের ছাপ ছোট হয়ে আসছে।
No comments:
Post a Comment