সংকেত
মৃত্যুর আগে কিছু ক্লু জরুর রেখে যাচ্ছি
গোপনে বলে যাচ্ছি আমার রাতসফর
আর হাতসাফায়ের ছোঁয়াচে সংলাপ
লিখছি লুকোনো গোপিনীদের নাম
তাদের বয়স, আনখশির মুসাফিরনামা
প্রতিটা তিল আর জড়ুলের ডিটেইলস
পশ্চার এবং শীৎকারকাহিনী
নিপুন সংকেত ডিকোড করে নিও
আসলে আমার কবিতাই আমার জীবন!
ঘোর লাগা রাতে
মাঝরাতে জ্বরতপ্ত কপালে শীতল স্পর্শ পাইয়া বুঝিলাম মা আসিয়াছেন। সমুদ্রের ওপার হইতে, মৃত্যুর ওপার হইতে মা আসিয়াছেন। মা কি না আসিয়া পারেন! আমার উষ্ণতা ধীরে ধীরে কমিতে লাগিল। সহস্র যুগ পরে সেই ঘোর লাগা রাতে আমি ফিরিয়া পাইলাম আমার চিরকালের আশ্রয়। চোখ না খুলিয়াই বুঝিলাম বাহিরের রোয়াকে চেয়ারে বাবা বসিয়া আছেন। এখন কিছুতেই উনি ঘরে আসিবেন না। দীর্ঘপথ পার হইয়া আসিয়াছেন সন্তানের টানে। তবু বাহিরে বসিয়াই উনি অপেক্ষা করিবেন। অপেক্ষা করিবেন তাঁর স্ত্রীর জন্য। মা বাহির হইলেই শান্ত স্বরে কহিবেন, খোকাকে ফলগুলি কাটিয়া দিও। ওনার আশঙ্কা কিছুতেই কন্ঠস্বরে প্রকাশ পাইতে দিবেন না। তবু...তবু কথাগুলি বলিবার সময় একবারের জন্যেও কি স্বরতন্ত্রী কাঁপিয়া উঠিবে না! তাপ কমিলে শেষরাতে আমি ক্রমশ আমার অগোছালো বিছানায় মলিন চাদরের অতলে তলাইয়া যাইব। সারারাত মা আমায় পাহারা দিবেন। বাবা মা'কে।
No comments:
Post a Comment