বেদান্তের শেষ তঞ্চকতায়
প্রতিবাদহীন স্বপ্নের ঘোর থেকে উঠে আসা মেয়ে,
পরবর্তী যুদ্ধের জন্য নতুন প্রস্তুতি নিয়ে
এসেছিল গতকাল রাতে ।
খড়িমাটির তিলক কেটে, তবু সে মরেছে ।
ক্যাকটাসেও প্রাণ আছে, পান্থের বিরতিপর্ব, মরু-পিপাসায় ।
শঙ্খচিলের প্রতিদিন আকাশভাঙা ঘুম,
এসেছিল আরেকটি অচেনা মেয়ে, একান্ত নিঝুম,
সব ঠিক, অন্দরমহলেও হত্যার মোহে মন আধুনিক,
বড়ো একা থাকা নির্ঘাৎ এই প্রেম, কৃষ্ণবর্ণের কিনারায় ।
হারিয়েই গেল বিবাগী বান্ধবীটির পলক পড়া ভাষা,
এক খেলা থেকে অন্যের ছিনিয়ে নেওয়ার রাজনৈতিক পাশা,
পড়ে আছে উঠোনের একধারে, ভাঙা বেদিকায় ।
বড়শিতে গাঁথা মৃগেল কাতলা রুইমাছ,
হলুদে আবৃত এক দেহ, প্রেতাত্মার পাঁজর ভাঙা শ্বাস,
বাগানের চম্পকে যদি মক্ষিকারাণী, কভু তপস্যার মধুমাস
ফেলে আসে, চন্দ্রভেলার থেকে গলদঘর্ম মেঘবারি,
দোদুল দুলবে তার বাজারের দাঁড়িপাল্লায় ।
শিং থেকে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপাটা কেড়ে নেওয়া হলে,
সন্ধ্যা ও সকাল, এই মাটির কাছাকাছি,
সুগন্ধের সাতরঙে প্রতিলিপি হওয়া কোনো মাছি,
দিব্যদর্শনের যজ্ঞে পুড়ে, বেদান্তের শেষ তঞ্চকতায় ।
No comments:
Post a Comment