Sunday, April 12, 2020

শ্রীজাতা গুপ্ত-র কবিতাগুচ্ছ







পেঞ্চ থেকে...


ঊষা
ধরো, এই সমস্ত পৃথিবী যেন নির্মীয়মাণ পাটিগণিত
অরণ্য তার যোগ চিহ্নমাটি কামড়ে জড়িয়ে গুছিয়ে থাকে
পাহাড়, নদী,  ভেষজ সম্পদ- তারা এই সুখ ভাগ করে বাঁচে
গুণফল...  গু-ণ-ফ-ল প্রতিধ্বনি বাঘের গর্জন নেশা বাড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে
আর, সময়সময়, যে বিয়োগ করছে ক্রমাগত, একদিন মুছে ফেলবে সব সংখ্যা  অবান্তর মানুষ
পৃথিবীর ঊষালগ্নে শূন্য আবিষ্কার

সকাল
সূর্য্যমুখীর বীজ গেঁথেছিসেই মাটিতে সকাল
দিন পনেরো পরেই মুক্তি অঙ্কুরোদগম


দ্বিপ্রহর
কথার মতন, কষ্টেসৃষ্টে, ফুটছে পলাশ
বয়সরেখায় দু'এক বিন্দু ঘামের মতন


বিকেল
যে সব বাঁকে শালের বনে ডাকছে ঝিঁঝিঁ গাছ থেকে ঝোলে স্পটলাইট রোদ্দুর
নির্জনতার ঈশ্বরীয় সাক্ষীস্বরূপ
সেই গগনে দাঁড়িয়ে আছে দস্যি-মেয়ে
কাঁখের উপর উসকোখুসকো ধুলোর শিশুরোদের মতই পিছলে পড়ে চিকন ত্বকে
সে পথ প্রান্তে হারিয়ে ফেলা রুপোর কাঁকন
ফেরৎ পাওয়ার অপেক্ষাকে বিকেল বলে


সন্ধ্যা
বাক্যগঠনে বুড়ো ব্যকরণের মত অবিচলিত থাকে সেগুনের বন

মধ্যরাত
আগুন চিনেছি, সে তো রাতচরা পাখি
ধানকাটা গ্রাম, ওই সাদামাটা কুটীর উঠোনে
জ্যোৎস্না ভাঙিয়ে খায়আমাদেরও ডাকে
শুঁকেছি তামাক পাতাপ্রবালের মত লাল পিরিতির চোখ
মাটির কলস দোলেকুহকিনী যে পাড়ায় জ্বাল দেয় মদ
আঁচলে সে বেঁধে রাখে ছুটি
বুঝেছি আগুন, সে তো ঝোপে বসা রাতের পাখিটি





No comments:

Post a Comment

একনজরে

সম্পাদকীয়

একটি বিষয়ে আমাদের সকলের একমত হতেই হবে ভিন্ন মতের ও ভিন্ন রুচির বহুস্তরকে সম্মান জানিয়েও, যে, আমরা এই মুহূর্তে প্রায়শ্চিত্ত করছি। মানুষ...

বেশিবার পড়া হয়েছে যেগুলি