সন্ধানে
অন্ধকার ঘিরে আছে ঘরে
ভেতরে একা একা
দুহাত মেলে ধরি।
দিশাহীন আকাশ হোঁচট খায় সিলিং ফ্যানে
বদ্ধ আঁধারে পথ নিভে আসে।
উড়তে পারি না আর। ডানা থেকে খসে পড়ে
সাধ। বাতাস নেই।
নিঃশ্বাস নেই।
চারদিকে আঁশটে গন্ধ আর পোড়া ছাই
চিতা গুলো জ্বলছে শুধু একের পর এক!
চোখ বুজে রাখি জোর করে।
বাঁচতে হবেই।
ভুলতে হবে সমস্ত সংহার
এ নিঃশ্বাস টিকে থাকার, শুধু বাঁচার জন্য না
যতবার চোখ বুজি,
কত প্রিয় মুখ, কালো হয়ে ওঠে।
দাঁত বের করা, হাড় গিলগিলে কতগুলো
কঙ্কাল আমাকে টেনে নিতে চায় সুড়ঙ্গের ভেতর।
এক ঝাপটায় নিভিয়ে দিই মোম।
ফ্যানের ঘড়ঘড় শব্দে মিলিয়ে যায় সমস্ত কালো দৃশ্য।
চারপাশে দুর্ভেদ্য কালো প্রাচীর
শুধু আমার দু চোখ, জ্বলে ওঠে
আলোর সন্ধানে!
চাঁদ
ক্রমশ জমে উঠছে জল নিজের ভেতর
চাঁদের প্রতিচ্ছবি দেখি,
গায়ে লেগে কত দাগ
তবুও কি নিটোল
ঠিক যেন,
অদৃশ্য দীর্ঘশ্বাস
গোল টেবিলের ধারে ছড়িয়ে পড়েছে।
তবু সুদৃশ্য খাবার টেবিল!
ঘষে ঘষে মসৃন হয় চন্দনপিড়ি
ঠিক যেন প্রিয় পুরুষ।
তাকিয়ে থাকো।
রাত্রির ঘনত্ব ভেদ করে ছুটে আসে আলো
চোখের ভেতর তারাদের জলসাঘর।
ক্ষয়ে যাওয়ায় আগে ঝড় ওঠে।
এ এক অদ্ভুত জলোচ্ছ্বাস।
হেসে ওঠে চাঁদ।
শরীর পূর্ণ হয় আবার সম্পর্কের আলোয়!
দেশ
জল থেকে উঠে আসছে ভিক্ষুক।
সপসপে ছেঁড়া জামা।
এক টুকরো আকাশ খুঁজতে
টলতে টলতে এগিয়ে যাচ্ছে এক মানচিত্রের ভেতর।
কঙ্কালসার কালসিটে শরীর
মুখের ভেতর বিষাক্ত লালা।
পায়ে বিঁধে আছে কাচ।
প্রতিটা যুদ্ধের সময় যেমন ভেসে যায় সবুজ সকাল
হাওয়ায় ভেতর জমে ওঠে বিষ
সারা শরীরে তার রক্তের ঘ্রাণ
ভিক্ষুক বাড়িয়ে দেয় হাত
এক আঁজলা জল…
চোখের ভেতর কাঁদছে সহস্র চোখ
ভিজে যাচ্ছে মানচিত্রের নক্সা
যেন লুটিয়ে পড়েছে একটা দেশ, রক্ত নদীর পাশে!
No comments:
Post a Comment