আইসোলেশন পর্ব
এক.
আলো নিভে এল
নিভে এল পাড়ায় পাড়ায়
ঘরের অদূরে, ঘরে
স্তরে স্তরে অচেনা অসুখ
মুখ ক্রমে ফ্যাকাশে হয়ে উঠছে
আতঙ্ক একটি পরবের নাম হতে পারে না
সুস্থতা লিখতে গিয়ে খসে যাচ্ছে বর্ণমালা
সারি সারি নৌকো
ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকছে,একা
ক্ষয়ে যাচ্ছে ঘড়ির কাটাও
দ্রুত রং মাখতে মাখতে
পেরিয়ে আসছি অস্তিত্বের খসড়া আওয়াজ
সমস্ত তুকতাক এসে জমা হচ্ছে অন্ধগলিতে
দুই.
আমার ভেতরে থাকা নিরীহ আমিও
হঠাৎ খ্যাঁক করে উঠি নিজের দিকেই
চারপাশে প্রাণ
এত প্রাণ
চুপচাপ মালা গাঁথে মৃত্যুর
বোধিবৃক্ষর নিচে আজন্ম অন্ধকার
হাঁটু মুড়ে বসে
দূর থেকে পথকেও বিন্দু মনে হয়
মনে হয় শূন্য স্বপ্নের দেশ
আজকাল দেহকে ঝালিয়ে নিই,
পোশাক, পরিচয়
শেষ প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দিই
প্রিয় প্রতীক্ষার দিকে
তিন.
অজস্র যুদ্ধ সব ছাই মেখে গোপন শিবিরে
আয়তমাঠের বাহু কমেই আসছে প্রায়
পলকে পলকে
বাহুপ্রাচীর জুড়ে শৈবাল ম্লান রৌদ্র শুষে খায়
বাকি
কিছু ছড়িয়ে থাকে, কেউ এসে স্পর্শ দেবে ব'লে
সমস্ত যুদ্ধ আজ ঘরে এসে পৌঁছেছে
মানুষের ঘরে!
স্পর্শ, সে তো মিথ্যে হয়ে আছে
অনন্ত আলোর গান রেকর্ডে বাজছে শুধু
কল্পনার মতো
কে শোনে, কে বোনে প্রাণ?
আলেয়ার পাশে, দামামার পাশে
শিশুগাছের মাথা খসে যাবার শব্দ
কোনদিনই তো গ্রাহ্য হয়নি, আজ কেন তবে?
অসময়ে বারবার ঘরকে মায়ের কোল মনে হয়
বিপক্ষের তীর বরাবর মা'র বুকে লাগে
মৃতার জীবিত কোলে শিশু আদরে ঘুমায়
No comments:
Post a Comment