উপন্যাস: এক
চোরাশিকারী জানে উপন্যাস আসলে মধ্যবিত্ত মানুষের অসহায় যৌনদুপুর ।সব চরিত্র কাল্পনিক। তোমার বুনোফুল ,কাঁটাঝোপে দুএকটি মানুষ আজও গাছের সমান। এই নদী মাটির ভিতর থেকে উঠে এসে লুকিয়েছে ঘুমের কাঁথায় ।মাঝেমধ্যে এই পথে শাপভ্রষ্ট দেবতা আসেন। অদৃশ্য সাঁতার তার দেখে ফেলে দেহাতী রমণী। অচেনা পুরুষগন্ধ ,তার পিছুপিছু ছুটেছে হেঁসেল ,স্বর্ণগোধিকা,দুর্বল স্বামীর সন্দেহ। মানুষের ছদ্মবেশে দিবস রজনী। অবলুপ্ত দেবতার থান । যোনির বিছানা পেতে একদিন দেখেছে সে ভোর। ডালে ডালে ডাইনির শতচ্ছিন্ন শাড়ি।দেবতার সন্দেহ হয়।জল খেতে এসে মনে পড়ে অভিশাপ, এমনই সে বাঘিনীর চোখ।
উপন্যাস: দুই
আঘাত তোমার নীচে এই কালো দাগ অন্ধকারে দরজা খুলে দেয়। অনাবশ্যক এক সিঁড়ি। কুকুরের পিছু পিছু মানুষের স্বভাব জ্যামিতি। মাটির ভিতর থেকে উঠে আসে ডানা ভাঙা পাখির সন্দেহ।উড়ানের এই হাওয়া বাতাসে তোমার ব্যাকুলতা বালকের স্কুলছুট মলিন জামায় লেগে আছে। একছুটে দিগন্ত পেরোই। তিনতলা বাড়িটির পিছনে হঠাৎই আগাছার জঙ্গলে পাড়ার দিদির উন্মুক্ত স্তন দেখে ফেলি। অপরাধমনস্ক হাওয়ায় তোমার শাড়ির মেঘে দুলে ওঠে মেগা সিরিয়াল।হারিয়ে যাওয়ার আগে... এখনও টের পাই সেই কালো দাগ...
মাথার ভিতর অদৃশ্য মানুষের মিশে যাওয়া ঘামের শরীর
ভালো লাগল|
ReplyDeleteপড়ে খুশি হলাম। মিয়ার স্টেটমেন্টকেন্দ্রিক অ্যাপ্রোচের চৌহদ্দির মধ্যে হাত পা ছড়িয়েও যে এতদূর ঘনসংবদ্ধতার গুণ টেনে ধরা যায় তা পড়ে আপনার শক্তিমত্তার, যা পূর্বপ্রকাশিত, অধিকার সম্পর্কে আর সন্দেহ রইল না। হয়তো শূন্যের মূল ধারা, যা আখ্যাত অল্টারনেটিভ হিসেবে, এ পাঠে অপ্রাসঙ্গিক, কিন্তু উৎপলকুমার-রমেন্দ্রকুমারের কালোচিত লেগাসি হিসেবে দেখলেও এ আঙ্গিকের উদ্দেশ্য ফোকাসড, চেষ্টার অপূর্ব লজিকময়তার ছাপ ফুটে আছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ReplyDeleteBhalo Laglo
ReplyDelete