দু’টি কবিতা
সনেট # ১২
একেই বিরক্তি বলে? ঠিক ১৬-খানা বইপত্র
খাটের উপরে আছে। খাতা-পেন। ডাইরিও আছে।
ভীষণ নিশিন্তে আছে একপাশে। সে-জন্যেই কি
তোমার বিরক্তি এসে বলে গেল, ছুঁড়ে ফেলল সব।
এদের জন্যেই না কি বিছনার চাদর এলোমেলো
এদের জন্যেই না কি ঘুম আসে না দুপুরে রাত্তিরে
এদের জন্যেই না কি অশান্তিরা মাঝখানে দাঁড়ায়
এদের জন্যেই না কি কোনোদিন ছেড়ে যেতে পারো!
কিছু তো বয়স হলো, এখনও কি বুঝবে না তুমি
আমি ঠিক কাকে চাই? বৃষ্টি, মেঘ, রোদ্দুরও তা জানে।
কিন্তু তুমি ফুঁসে ওঠো। ... স্বাভাবিক হও, স্বাভাবিক।
আমিও বইয়ের মতো এক কোণে পড়ে থাকতে চাই
পড়ে থাকতে চাই এই বাসন-কোসন যে-রকম ---
ছড়িয়ে- ছিটিয়ে থাকা ১৭-টা বিরক্তি তা জানে।
সনেট # ১৩
যে-পাপ ভোলার নয়, আমি তাকে পাশকাটাতে চাই
কেয়ার মোড়ের কাছে আমি ওকে পরশুও দেখেছি
এবং দেখেছি বলে অন্ধ হয়ে গেছি সঙ্গে সঙ্গে
এতটাই তেজ ছিল ওর শরীরে, দু’ চোখে, আর মনে।
কতদিন ভেবেছি যে, অন্য কোনও রাস্তা দিয়ে যাব
ভেবেছি যে রিকশ নেব ফেরার সময়, চুপিচুপি---
আজ পর্যন্ত কোনওটাই ফলপ্রসূ হয়নি, লুকোচুরি
ধরা পড়ে গেছে আর অন্ধ হয়ে গেছি সেই তাপে
যাকে ভুলতে চাই তাকে ভোলা যায় না কেন, ভাবতে থাকি
মাথার খুশকির মতো লেগে থাকে ব্যপ্ত হয়ে, কেন
স্বপ্নের ভেতরে থাকে, সুযোগের অন্ধকারে থাকে?
তবু আমি অন্ধ নই, সূর্যোদয় দেখি ভোরবেলা
দেখি এক ম্যজিকওলা নিয়মিত আমাকে ঝর্নায়
নিয়ে যায়। পাপ ধোয়। আর আমি, শুদ্ধ হই পড়ন্ত বেলায়।
No comments:
Post a Comment