|| শ্রীমতী ||
হাওয়া যেমন, সুর মাত্রই দুলে ওঠে।আগুনের দলার সামনে মাধুকরী হাত পাতে নবীন ভিক্ষু।রূপোফুল ছুঁড়ে মারি পাছে,পাঠশালে এনেছেন তাই।মহাশ্মশানের পথে তালপাত পুঁথি আলো আর ছাই হয়ে ওড়ে।ভ্রমর মরেছে এখানে।মরে কাঠ হয়ে আছে গোধূলি দিন।নৌকোভর্তি গুঞ্জনও রাত্রি হয়ে এলো।চিত্রগুলি লেখা হোত ততদিন, ত্বকের মর্মরে মাধবীর ভ্রূণ ফোটে যত,প্রজাপতি ইশারা দেয় আর মরে যাওয়ার দশদিন পর,ছেঁড়া রেণু ওড়ে শুধু।বোবা হোলো স্রোত ও ধমনী।হাড় থেকে শাদা অন্ধকার উঠে সার বেঁধে দাঁড়ায়।জংধরা নক্ষত্রলোকের মতো সশিষ্য আপনি যেমন নীচু হয়ে দ্যাখেন আলো কমে দ্রুতই।মরাচাঁদ হাতে গলিত শবের পাশে ত্রিকাল দাঁড়ালে নিজের অঙ্গক্ষত ঝুঁকে দেখি আমি।দেখি ব্যার্থ খেলা করে হাওয়া।রূপের কি দশা ভেবে স্মিত হাসে আপনারই মতো।বিকট লেগেছে নাকি মুখের ব্যাদান?শোক নেই অবশ্য।কাঁচা লাল হাহাকার নেই।শুধু পাশ ফিরে দেখি ও ধ্যানমুখ।চিত্রগুলি লেখা হয় ততদিন, ওড়পুষ্প ফুটে পড়ে নুপুর ও মৃদঙ্গে যেই,রক্তের নরম ফুল জ্বলে নেভে এত,ধরে যায় কাষায় চীবর।রূপে রূপ জ্বলে গেছে এভাবেই গেহগারী-স্বপ্ন-বান্ধুলি ফুল।লবণ ও প্রদীপ হাতে ঘুরি শুধু ত্রিতালের বোলে।জল পড়ে তবু চোখের কোটরে।এই অসমাপ্ত আকাশ, ভাঙা এই নিশান বোঝাতে প্রয়োজন আমাকেই প্রভু?জীবিত বা মৃত নটীর শরীর যদি সুলভেই মেলে,বুদ্ধ বা বিমূঢ় শিষ্যে তফাৎ কোথায়!শ্রীমতী নই কি আমি শরণাগত ওই ধ্যানের দুপায়ে?ছেঁড়া আকাশ থেকে জল পড়ে আজও।অন্ধকার ঘন হয়ে আসে।নির্বাক জিজ্ঞাসা নিয়ে নর্তকীর মরা আত্মা অল্পই আলো তুলে ধরে...
No comments:
Post a Comment