দুটি কবিতা
এই বিপর্যয়ে
এই বিপর্যয়ে দেখছি— শান্ত গাছ, ফুল নিয়ে
তাকিয়ে রয়েছে অবাধ যন্ত্রণায়
তুমি ভালো আছ অথবা মন্দ আছ
টের পেতে চাইলে শিকড়ে টান লাগে
টব ভেঙে, এই খোলামকুচি
কোন ফলের হাহাকারে সাড়া দেয়?
বীজ, আলো ঢালবে বলে গর্ভে পুঁতে রেখেছে সৌন্দর্য
হে নারী, নাড়ির ভিতর
পেঁচিয়ে গেলে গলা, পুরুষ কীভাবে মাতৃত্ব পাবে?
নিজের বানানো বাড়ি
যেদিকেই যাওয়া যায় মাঝখানে পড়বে ভাঙা এক সাঁকো
এখন পেরোনো বাধ্যতামূলক ভেবে— ডুবে গেল যে মায়া, মন্ত্র ও নাড়ি
তাকে 'জলের সেলাই'-য়ে রাখি
জল জ্বল জ্বল করে। জেগে থাকে— মাথা ও সাঁকো
পেরোনো এতটাই সহজ
ডুবলেই মনে হয়— নিজের বানানো বাড়ি
শুধু স্বীকার্য যে, সমকালীন কবিতার যে নিবিড় অপ্রসূ অংশের ভোঁতা বক্তব্যময় বিড়বিড়ানি থেকে সচেতন, (অবচেতন হলে আরো ভাল) দূরে আছিস, তা ধন্যবাদার্হ। কিন্তু ইন্ডিভিজুয়াল পংক্তিগুলি দেখলে তারা একই দোষে দুষ্ট। কবিতার মাঝখানে পোড়া গরমমশলা মুখে পড়ার মত ' '-র প্রয়োগ, কিছু আপাত অবসোলিট শব্দের ব্যবহার, পংক্তিনির্মাণে প্রটোটাইপ নির্মিতি ব্যবহারেএ মধ্যে অভাবের ছাপ স্পষ্ট - সব মিলিয়ে মনে হয়, সামগ্রিকভাবে জিতে গেলেও পুঙখানুপঙখে, তোর আটপৌরে মেজাজী ভাষা থেকে সামাজিকে উত্তরণের পথ এখনো সম্পুর্ন নয়। শুভেচ্ছা জানিস ভাই।
ReplyDelete