অবিদ্যার ভাষা
সত্যের অমোঘ ঝড় তেড়ে আসে বুক পেতে
রেখেছি যেখানে
ওইখানে তরঙ্গের ওঠানামা দেখা যায়
কান পেতে শোনা যায় শব্দের চিতা
কিভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধেছে আমাকে
মৃত্যু পর্যন্ত পথ চোখে ভেসে ওঠে
পাখি,ফুল,ভালোবাসা---অক্ষরের শব
সবকিছু স্পষ্ট হয় প্রখর আলোকে
প্রতিটি মুহূর্ত কাঁপে প্রদীপের শিখা
অবিদ্যার ভাষাখানি জেগে ওঠে ধীরে
বিদ্যার দেহখানি পড়ে থাকে শান্ত নদীতীরে
আবরণ
এই ছিল,চলে গেল,শুধু এইটুকু
কতো কতো কল্প পেরিয়ে সে এসেছিল
ওই তো বেসিনে কে মুখধুচ্ছে আমি শুনতে
পাচ্ছি
তার মুখ কতো শত নীহারিকা টপকে চলে
যাচ্ছে
ঘূর্ণিঝড়ের মতো,শত-শত গ্যালাক্সির বুকের
ভেতর অনন্ত ঝলসানো রোদে
ঘর,গেরস্হালি সঙ্গে-সঙ্গে কী৷ উড়ে যাচ্ছে!
ওই যে বুলবুলি দুটো কতো খুনসুটি করছিল
নারকেল গাছের মাথায়
শূন্যের ভেতর এইমাত্র,এইমাত্র উড়ে গেল
ওদের ডানার ঝাপটায় দেশ-কাল-সমুদ্রে
তরঙ্গ উঠল হয়তো
খাঁচাটি ভেঙ্গে গেলেই সে মুক্ত
তবু ওই তার তৈরী মজবুত বাসা ছেড়ে
কোন্ অনন্তের পেটের মধ্যে দিকশূন্য ছাড়িয়ে
তরঙ্গের ওঠা-নামার মধ্যে কোথায় হারিয়ে গেল
সে!
কোথাও কি সব পূর্ণ হয়ে আছে
শুধু চোখের ওপর একটা পাতলা ফিনফিনে
আধো-অন্ধ আবরণ কেউ ঝুলিয়ে রেখেছে!
অনশ্বর
আমি অনেক-অনেক দূর অব্দি হেঁটে হেঁটে
দেখেছি
মানুষের হাসি-কান্নার পাশে নিসর্গের শূন্যতা
রয়েছে
তাদের ঘর- সংসারের গায়েই প্রতিদিন বেড়ে
উঠছে
তরল এক অন্ধকার,যা পার্থিব জীবন থেকে
উঠে গেছে কোনো অন্ধ-বাউলের দিকে
রূপ
ভিক্ষুকের মতো আমি হাত পেতে আছি
কাঠবেড়ালির চোখে যে পরম এইমাত্র দেখলাম
তার আলো মেখে জারুল গাছের পাতাগুলো
হেসে উঠল
ওই অনিমিখ আলোর অসীম,বাগানের
তারাফুলটির চোখেও দারুন উছল
দেখে,আজ এই পৌষের সকালে কার মুখের
আদলে
ভিতর পৃষ্ঠাগুলো একে একে খুলে গেল
দেখি আমারও ভিতরে সমস্ত চরণচিহ্ণ আঁকা
হয়ে আছে
বুঝি মুছে যায় খেলা শেষে আবার খেলার ঘর
বাঁধা হবে ভেবে
মুছে,মুছে,মুছে অরূপের প্রাণে আনে রূপের
রূপের আকার।
ভালো লাগল বেশ! এই কবি ততটা পঠিত নন কেন যে!
ReplyDeleteখুব ভালো লাগল কবিতাগুলি। কবিকে নমস্কার জানাই।
ReplyDeleteভালো লাগল দাদা
ReplyDelete