তখনও মন্থর ট্রেন
জলের ভিতর ভেসে উঠেছে ঘর
সদ্যপ্রসূতা তালগাছ, উদার হৃদয় বুড়ো নিম
বিশ্রামের এমন সংকেত দেখে বিহ্বল হয়ে উঠি রোজকার মতো
এই প্রথম চোখে পড়ে,
অনতি গভীরে হাত ধরাধরি করে হেঁটে যাচ্ছে কত প্রিয়জন
তাদের মাথার নিচে আসন্ন শরতের মেঘ
কথার খেলাপ করে যারা যারা ছেড়ে চলে গেছে
তাদের চরণচিহ্ন টলটল করছে গভীরে
একমুঠ যূথী ফুল ভাসিয়ে দিলাম, তারা নৌকা হয়ে থাক
কাতরতাটুকু থাক ছই হয়ে
ইচ্ছে হল,পাঁজরের দাঁড় বেঁধে রাখি
শ্বাসবায়ু ভরে দিই পালে
যদি তারা কেউ ফিরে আসে তো আসুক
কতদিন আর কেউ সন্ততি-স্বজন থেকে দূরে থাকতে পারে
বাতাসে পদ্মের সৌরভ
শব্দ ফুটে উঠছে, কুঁড়ি স্বর
কিছু পরে ট্রেন বেঁকে যাবে সেই শহরের দিকে
যেখানে বিবর্ণ এক আয়ত কৌণিক ঘরে আমার বসত
বিষাদ ঘাড়ের কাছে কামড়িয়ে ধরে মধ্যরাতে
অসাধার! তোমার কবিতার ভাষা আমাকে ভীষণভাবে আকৃষ্ট করে।এমন উপহার পেলে গোগ্রাসে মনে হয় শুধুই পড়ি।কী সুন্দর মিষ্টি কবিতা! অনবদ্য কবিতার ভাষা!
ReplyDeleteধন্যবাদ। অপার শুভেচ্ছা রইলো।
ReplyDeleteসুন্দর হয়েছে কবিতাখানি।
ReplyDeleteধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।
Delete